আমরা যারা ২০০০ সালের এক দুই বছর আগে জন্ম নিয়েছি বা ২০০০ সালের পরে তারা ঠিকঠাক বিএনপির তেমন কোনো রাজনৈতিক কার্যকালাপ বা উন্নয়ন সম্পর্কে বলতে পারবো না, যার আমরা প্রত্যক্ষ ভাবে সাক্ষী। তবে, ইতিহাস থেকে অনেক কিছু জানা যাবে। কিন্তু আপনি যদি জেন জির এর চিন্তার প্রভাব বোঝার চেষ্টা করেন তবে তারা ইতিহাসের থেকে সম্প্রতি ঘটা বিষয়বস্তু ও নতুনত্বকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা করে।
আমি যদি ব্যক্তিগত দিক থেকে মতামত প্রদান করি তবে আমি জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশি এবং জেন জি। আমার চিন্তার দিক থেকে আমি যেমন বিএনপিকে তেমনি আওয়ামী লীগকে এবং তেমননি অন্য অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও সমান ভাবে বিবেচনা করি। তবে, নির্বাচনের সময় আমি অবশ্যই এমন কাউকে বিচার করবো যার ইতিহাস সুন্দর ও সাংগঠনিক ঐক্য রয়েছে ।

চলুন মূল প্রসঙ্গে ফিরে যাই,
দেখুন, বিএনপি আওয়ামী লীগকে চাওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। যেমন,
ভোট চাওয়া ক্ষেত্রে :
বিএনপি যখন মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবে তখন তারা আওয়ামী লীগকে জনগনের কাছে একটি স্বৈরাচার সরকার হিসাবে তুলে ধরবে ।
জুলাই বিপ্লবের ছাত্র ও সাধারণ মানুষ হত্যাকারি হিসাবে তুলে ধরবে ।
শাপলা চত্বরের নৃশংসতা গল্প শুনাবে ।
ইসলাম ধ্বংসকারী হিসাবে তুলে ধরে সাম্প্রদায়িক সংখ্যাগড়িষ্টতার সিমপ্যাথি পাওয়ার চেষ্টা করবে।
অর্থ পাচারকারী হিসাবে তুলে ধারবে ।
ভারতের দাসী হিসাবে আওয়ামী সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে উপস্থাপন করবে ।
প্রতিশোধ নেয়ার আশায় : .....
কারণ খুঁজলে হয়তো এমন অনেক কারণ পাওয়া সম্ভব কিন্তু জামায়াতে ইসলামীকে কোনো দিক থেকেই কোনো কিছুর জন্য দায়ী করতে পারবে না।
জেন জি আওয়ামী লীগকে তাদের অপকর্মের জন্য ঘৃণা করলেও আওয়ামী কতৃক উন্নয়নগুলোকে অস্বীকার উপায় নেই । যদি এই উন্নয়ন গুলো জনগনের অর্থে হয়েছে । কিন্তু কাউকে তো উন্নয়নের হাল ধরতে হতো । সেটাই করেছে আওয়ামী লীগ । যেটা সত্যিই বাংলাদেশের মানুষের জন্য আনন্দের হয়েছে । কিন্তু আওয়ামী লীগ এর স্বৈরাচার নীতি জনগনের জন্য সুখের ছিল না ।
বিএনপি তার এমন মেগা প্রজেক্ট বা উন্নয়নের গল্প মানুষকে কখনোই শোনাতে পারবে না । তবে, নির্বাচনে অংশ নিলে জামাতে ইসলামীরা বেশ সমর্থন পাবে এবং এখনো পাচ্ছে সেটাই মূলত বিএনপির ভয় । এছাড়াও ৭২ এর সংবিধান সংশোধনে বিএনপির বাধার অন্যতম কারণ দ্বিতীয় স্বৈরাচার । ছাত্ররা দেশটাকে জালিমের হাত থেকে রক্ষা করতে না করতেই বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দখল, চাঁদাবাজির সংবাদ পত্রিকা জুড়ে বেশ বড় করেই ছাপিয়েছে প্রেস ও মিডিয়া ।
প্রথম আলো লিখেছে : হাতবদল হয়ে পরিবহনে এখন বিএনপির দুই সাইফুলের চাঁদাবাজি
বিবিসি বাংলা লিখেছে : সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েও নেতাকর্মী নিয়ন্ত্রণে ‘হিমশিম’ খাচ্ছে বিএনপি
কালের কণ্ঠ লিখেছে : বিএনপির নেতার নামে চাঁদাবাজির মামলা, গ্রেপ্তার ৫
কালবেলা লিখেছে : বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দখল-চাঁদাবাজির অভিযোগ
সমকাল লিখেছে : সরকার পতনের পর চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ বিএনপির হাতে
বিডি নিউজ ২৪ লিখেছে : রাজশাহীতে ২ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, লুট-দখলের অভিযোগ, বহিষ্কারের দাবি ।
বিবিসি নিউজ বাংলা আবার লিখেছে : বিএনপির সাইনবোর্ডে’ চাঁদার নিয়ন্ত্রণ ও দখলের অভিযোগ
কালের কণ্ঠ আবার লিখেছে : দেশজুড়ে চাঁদাবাজি করছে বিএনপি
উন্নয়ন প্রসঙ্গে যদি কথা বলতে হয় :
তবে, মনে রাখতে হবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাত ধরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রাথমিক সোপানে উঠে বাংলাদেশ। আজকের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডের ভিত্তি গার্মেন্টস শিল্প ও প্রবাসী আয় জিয়ারই অবদান। এরপর ১৯৯১ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকার গঠনের পর থেকে অর্থনীতিতে নতুন গতিপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। মুক্তবাজার অর্থনীতি, ভ্যাট প্রবর্তনসহ তিনি যে নানামুখী সংস্কারমূলক কাজ করেছেন, আজকের অর্থনীতি তো তার উপরই দাঁড়িয়ে আছে।
কিন্তু, কথা আছে ”স্বাধীনতা অর্জনের থেকে রক্ষা করা কঠিক” জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে অনেক কিছু হলেও পরবর্তী সময়গুলোতে জনগন তেমন উন্নয়ন পায়নি । মানুষ সেটাই মনে রাখে যা তারা প্রতিনিয়ত পায় ।
Comments